জয়নাল আবেদীন রিটন, ভৈরব প্রতিনিধি ॥
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরি ঠেকাতে গিয়ে ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছেন নাইট গার্ড দেলোয়ার হোসেন (৫০)। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে চোরচক্রের হামলায় তার বাম হাত ভেঙে যায় এবং মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চোরচক্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন কক্ষের দরজা গ্যাস পাইপ দিয়ে খোলার চেষ্টা করে। এ সময় টহলরত নাইট গার্ড দেলোয়ার ঘটনাটি দেখে ফেললে চোরদের নেতা রাব্বি ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গালাগালি ও হত্যার হুমকি দেয়। পরে ডিউটি শেষে গেটের পাশে নাস্তা করতে গেলে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা রাব্বি ও তার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দেলোয়ারকে বেধড়ক মারধর করে।
হামলায় তার বাম হাতের আঙুল ভেঙে যায়, কবজির জোড়া সরে যায় এবং ক্ষতস্থানে ৬টি সেলাই দিতে হয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই ভর্তি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের ভেতরে বখাটেরা মাদক সেবন ও চুরি-ছিনতাই করে আসছিল। সেদিনও চুরি করতে গিয়ে রাব্বি ধরা পড়ে। পরে দেলোয়ারকে একা পেয়ে তাকে হামলা করে গুরুতর আহত করা হয়।”
এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রাব্বিকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ৩–৪ জনকে আসামি করে ভৈরব থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফোয়াদ রুহানি জানান, “নাইট গার্ডের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা বলছেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে অবাধে চুরি, ছিনতাই ও মাদক সেবন হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা দ্রুত চোরচক্রকে আইনের আওতায় এনে হাসপাতালের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।
Post a Comment