কিশোরগঞ্জ: ধর্মীয় উপদেষ্টা ও সমাজ বিশ্লেষক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় বললেন, আজকের সমাজে মানুষ হুজুরদের কাছ থেকে পানিপড়া, তাবিজসহ নানা ধরণের আধ্যাত্মিক সহায়তা গ্রহণ করলেও ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করছে। তার এই বক্তব্য সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সূত্রপাত করেছে।
রোববার (১০ আগস্ট) কিশোরগঞ্জ শহরের আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ‘ইসলামী অর্থনীতির গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন ধর্ম উপদেষ্টা। তিনি আরও বলেন, “আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনায় আলেম সমাজ পিছিয়ে পড়েছে। দেশের উন্নয়ন ও সামাজিক প্রগতিতে তাদের ভূমিকা যেন থাকে প্রবল ও সক্রিয়।”
ড. খালিদ হোসেন বলেন, “আমাদের দেশে সাধারণ মানুষ আধ্যাত্মিক বিশ্বাসে দৃঢ়, কিন্তু ভোটাধিকার প্রয়োগে তারা অনীহা দেখায়। হুজুরদের কাছ থেকে পানিপড়া, তাবিজ নেওয়া হয়, কিন্তু দেশের উন্নয়ন ও সুশাসনে অংশগ্রহণে আগ্রহী নন। এ যেন দ্বৈত চিন্তার পরিণতি। আমাদের আলেম সমাজকে এগিয়ে এসে এ অবস্থা পরিবর্তন করতে হবে।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার মহাপরিচালক মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশিদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জামিয়া ইসলামিয়ার অধ্যক্ষ মাওলানা হিফজুর রহমান, জামিয়া ইমদাদিয়ার সিনিয়র শায়খুল হাদিস মাওলানা শফিকুর রহমান জালালাবাদী, ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদের খতিব মাওলানা ইমদাদুল প্রমুখ।
ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্য ছিল শুধুমাত্র একটি সমালোচনা নয়, বরং দেশের ভবিষ্যত গড়ার জন্য আলেম ও সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান। তিনি আরও বলেন, “দেশে সত্যিকার উন্নয়ন ও শান্তি কেবল সুশাসনের মাধ্যমে সম্ভব। সুতরাং, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য আমাদের আলেম সমাজের সামনে দায়িত্ব অনেক বড়।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশে ভোটে অংশগ্রহণ কম হওয়ায় গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল হচ্ছে। ধর্মীয় নেতাদের এই বার্তা সময়ের দাবি, যেখানে ভোট দেয়ার গুরুত্ব বুঝিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচনপ্রক্রিয়ার প্রতি উৎসাহ সৃষ্টি করতে হবে।
এছাড়া, আলেম সমাজকে রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে বলে ড. খালিদ হোসেনের নির্দেশনা ছিল স্পষ্ট। তিনি বলেন, “আমাদের আলেমরা যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের সুশাসনে অবদান রাখেন, তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। শুধুমাত্র ধর্মীয় কাজকর্ম নয়, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আলেমদের এগিয়ে আসা সময়ের দাবী।”
আলোচনা শেষে উপস্থিত অতিথিরা একমত হন যে, দেশের যুবসমাজ ও সাধারণ মানুষকে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হলে ধর্মীয় নেতাদের সক্রিয় নেতৃত্ব অপরিহার্য। পাশাপাশি ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধাগ্রস্ত নানা সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যারও সমাধান করতে হবে।
কিশোরগঞ্জের রাজনৈতিক পরিবেশে এই ধরনের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মত বিশ্লেষকদের। কারণ, বর্তমান সময় দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন এবং জনগণের সক্রিয় ভোট অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।
সর্বশেষ, ধর্ম উপদেষ্টা ড. খালিদ হোসেন এই ধরনের সভা-সমাবেশ আরো বেশি বেশি আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন, যেখানে ভোটের গুরুত্ব ও ইসলামী অর্থনীতির ইতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা হবে। এ ধরনের সচেতনতা দেশকে সামগ্রিকভাবে এগিয়ে নিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।কিশোরগঞ্জ: ধর্মীয় উপদেষ্টা ও সমাজ বিশ্লেষক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় বললেন, আজকের সমাজে মানুষ হুজুরদের কাছ থেকে পানিপড়া, তাবিজসহ নানা ধরণের আধ্যাত্মিক সহায়তা গ্রহণ করলেও ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করছে। তার এই বক্তব্য সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সূত্রপাত করেছে।
রোববার (১০ আগস্ট) কিশোরগঞ্জ শহরের আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ‘ইসলামী অর্থনীতির গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন ধর্ম উপদেষ্টা। তিনি আরও বলেন, “আধুনিক রাষ্ট্র পরিচালনায় আলেম সমাজ পিছিয়ে পড়েছে। দেশের উন্নয়ন ও সামাজিক প্রগতিতে তাদের ভূমিকা যেন থাকে প্রবল ও সক্রিয়।”
ড. খালিদ হোসেন বলেন, “আমাদের দেশে সাধারণ মানুষ আধ্যাত্মিক বিশ্বাসে দৃঢ়, কিন্তু ভোটাধিকার প্রয়োগে তারা অনীহা দেখায়। হুজুরদের কাছ থেকে পানিপড়া, তাবিজ নেওয়া হয়, কিন্তু দেশের উন্নয়ন ও সুশাসনে অংশগ্রহণে আগ্রহী নন। এ যেন দ্বৈত চিন্তার পরিণতি। আমাদের আলেম সমাজকে এগিয়ে এসে এ অবস্থা পরিবর্তন করতে হবে।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার মহাপরিচালক মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশিদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জামিয়া ইসলামিয়ার অধ্যক্ষ মাওলানা হিফজুর রহমান, জামিয়া ইমদাদিয়ার সিনিয়র শায়খুল হাদিস মাওলানা শফিকুর রহমান জালালাবাদী, ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদের খতিব মাওলানা ইমদাদুল প্রমুখ।
ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্য ছিল শুধুমাত্র একটি সমালোচনা নয়, বরং দেশের ভবিষ্যত গড়ার জন্য আলেম ও সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান। তিনি আরও বলেন, “দেশে সত্যিকার উন্নয়ন ও শান্তি কেবল সুশাসনের মাধ্যমে সম্ভব। সুতরাং, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য আমাদের আলেম সমাজের সামনে দায়িত্ব অনেক বড়।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশে ভোটে অংশগ্রহণ কম হওয়ায় গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল হচ্ছে। ধর্মীয় নেতাদের এই বার্তা সময়ের দাবি, যেখানে ভোট দেয়ার গুরুত্ব বুঝিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচনপ্রক্রিয়ার প্রতি উৎসাহ সৃষ্টি করতে হবে।
এছাড়া, আলেম সমাজকে রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে বলে ড. খালিদ হোসেনের নির্দেশনা ছিল স্পষ্ট। তিনি বলেন, “আমাদের আলেমরা যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের সুশাসনে অবদান রাখেন, তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। শুধুমাত্র ধর্মীয় কাজকর্ম নয়, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আলেমদের এগিয়ে আসা সময়ের দাবী।”
আলোচনা শেষে উপস্থিত অতিথিরা একমত হন যে, দেশের যুবসমাজ ও সাধারণ মানুষকে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হলে ধর্মীয় নেতাদের সক্রিয় নেতৃত্ব অপরিহার্য। পাশাপাশি ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধাগ্রস্ত নানা সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যারও সমাধান করতে হবে।
কিশোরগঞ্জের রাজনৈতিক পরিবেশে এই ধরনের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মত বিশ্লেষকদের। কারণ, বর্তমান সময় দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন এবং জনগণের সক্রিয় ভোট অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।
সর্বশেষ, ধর্ম উপদেষ্টা ড. খালিদ হোসেন এই ধরনের সভা-সমাবেশ আরো বেশি বেশি আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন, যেখানে ভোটের গুরুত্ব ও ইসলামী অর্থনীতির ইতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা হবে। এ ধরনের সচেতনতা দেশকে সামগ্রিকভাবে এগিয়ে নিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
Post a Comment