নিকলী হাওরে ঘুরতে এসে পানিতে ডুবে ২২ বছর বয়সী পর্যটকের মর্মান্তিক মৃত্যু

কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওরে ভ্রমণের সময় পানিতে ডুবে বগুড়ার এক যুবক বনান্ত ইসলামের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে ছাতিরচর ইউনিয়নের করচবন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বনান্ত ইসলাম বগুড়ার কান্দারবাজার এলাকার বাসিন্দা এবং সৈয়দ আহম্মেদ কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বনান্ত ইসলাম ও তার কয়েকজন বন্ধু কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ পরিদর্শন শেষে নিকলী হাওরে ভ্রমণে যান। হাওরের ছাতিরচর ইউনিয়নের করচবন এলাকায় পৌঁছার পর গোসল করতে নদীতে নামেন বনান্ত। সে সময় পানির গভীরে হঠাৎ করে ডুবে যান তিনি।

নিহতের বন্ধু মো. সিয়াম (২২) জানান, "আমরা সবাই মিলে নিকলী হাওরে ট্রলারযোগে ছাতিরচরের করচবন এলাকায় যাই। গোসল করার সময় বনান্ত পানির নিচে চলে যায়। স্থানীয় মাঝিরা আমাদের চিৎকার শুনে দ্রুত পানিতে নেমে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন। তবে চিকিৎসার পর নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।"

বন্ধুর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, বনান্ত ইসলামের আকস্মিক মৃত্যু তাদের সবার জন্য এক ভীষণ শোকের বিষয়। তিনি আরও বলেন, "বন্ধুকে হারানো খুবই কষ্টের, আমরা এখন তার মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরতে যাচ্ছি। আল্লাহ যেন আমাদের ধৈর্য্য দেন এবং বনান্তের আত্মার শান্তি দান করেন।"

নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আরিফ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত বনান্ত ইসলামের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। মরদেহ এখনও থানায় রয়েছে এবং পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিকলী হাওরের এই দুর্ঘটনা স্থানীয় পর্যটকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তাকে সামনে এনেছে। বিশেষ করে নদী ও হাওরের পানিতে সুরক্ষার জন্য সতর্কতা অবলম্বনের প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post