ভৈরবে ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত, চিকিৎসার টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

জয়নাল আবেদীন রিটন, ভৈরব
কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরে ছিনতাইকারীদের হামলায় এক পরিবারের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। ভোররাতে শহরের পলাশ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীরা রোগীসহ পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে চিকিৎসার টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়।

আহতরা হলেন ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা আমির খান, তার স্ত্রী নাদিরা খান ও তাদের ছেলে ফারদিন খান। পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা অসুস্থ বাবা-মাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার উদ্দেশ্যে রিকশায় রেলস্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। পৌর কবরস্থানের মোড়ে পৌঁছালে হঠাৎ পাঁচ-ছয়জন ছিনতাইকারী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর আক্রমণ চালায়।

ফারদিন খান বলেন, “আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছিনতাইকারীরা আমাদের ওপর হামলা করে। তারা আমার বাবা-মাকে আঘাত করে এবং আমাদের সঙ্গে থাকা এক লাখ ১১ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। পুলিশে অভিযোগ করতে গেলে বরং উল্টো আমাদেরই জবাবদিহি করতে হয়।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার খবর পুলিশকে জানালেও সকাল ছয়টার ঘটনার পর তারা ঘটনাস্থলে আসে দুপুর একটার দিকে। অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে দায়িত্বরত এসআই ফরিদুজ্জামান অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

আহত আমির খান জানান, “রিকশা থামিয়েই আমাকে প্রথমে ছুরিকাঘাত করে ওরা। পরে বাকি সদস্যদেরও মারধর করে সব কিছু ছিনিয়ে নেয়। থানায় গেলে বলা হয় পরে আসতে।”

নাদিরা খান বলেন, “ছিনতাইকারীরা আমাদের ঘিরে ধরে রামদা ও ধারালো ছুরি দিয়ে ভয় দেখায়। পুলিশের এসআই ফরিদ আমাদের প্রতিবেদন নিতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন, আমরা কেন ছিনতাইকারীদের আটকাইনি!”

এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফোয়াদ রুহানী দুপুরে ঘটনাস্থলে গেলেও সাংবাদিকদের কোনো বক্তব্য না দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। তিনি বলেন, “আমরা আগে ভিকটিমদের বাড়ি যাচ্ছি, পরে কথা বলবো।”

ভুক্তভোগী পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post