ভৈরবে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও জেল পলাতক আসামি র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার

ভৈরবে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও জেল পলাতক আসামি র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার
জয়নাল আবেদীন রিটন, ভৈরব প্রতিনিধি || ১৯ জুলাই ২০২৫, শনিবার
কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের তাতারকান্দি এলাকা থেকে র‌্যাবের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন নরসিংদী জেলার তালিকাভুক্ত কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও জেল পলাতক আসামি মো. রবিন খন্দকার ওরফে ছুইম (৩৫)। শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে র‌্যাব-১৪ সিপিসি-২ ভৈরব ক্যাম্প এবং র‌্যাব-১১ এর একটি দল যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত রবিন খন্দকার নরসিংদী জেলার বেলাব থানার ভাবলা গ্রামের মৃত রুস্তম খন্দকারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ নরসিংদীর বিভিন্ন থানায় অন্তত সাতটি মাদকের মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় মনোহরদী থানার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে তার নামে। র‌্যাব সূত্র জানায়, ২০২৪ সালে রবিন একটি ‘শুটার গান’সহ পুলিশের হাতে আটক হন। কিন্তু জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি ফের মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে তিনি নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যান।

র‌্যাব-১৪ এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সূত্রে তারা জানতে পারেন যে, মাদক মামলার পলাতক আসামি রবিন খন্দকার ভৈরব থানাধীন তাতারকান্দি এলাকায় অবস্থান করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৪ ও র‌্যাব-১১ এর যৌথ দল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত রবিন খন্দকার দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদক সরবরাহ করে আসছিলেন। তিনি মূলত ইয়াবা, ফেনসিডিল এবং অন্যান্য মাদকদ্রব্যের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এলাকায় তিনি ছুইম নামে পরিচিত এবং একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েও জামিনে বের হয়ে পুনরায় অপরাধে জড়িয়ে পড়েন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিন খন্দকার দীর্ঘদিন ধরে ভৈরব শহরের তাতারকান্দি এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন এবং এখান থেকেই তিনি মাদক কারবার পরিচালনা করতেন। তার কারণে এলাকার তরুণদের মধ্যে মাদকের বিস্তার দেখা দেয়। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারের পর রবিন খন্দকারকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে। তার বিরুদ্ধে থাকা অন্যান্য মামলার তদন্ত কার্যক্রমও দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হবে।

এদিকে এলাকাবাসী র‌্যাবের এই অভিযানের প্রশংসা করে বলেন, “এই ধরণের দুর্ধর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও পলাতক আসামিকে ধরার মাধ্যমে ভৈরব শহরের পরিবেশ অনেকটাই নিরাপদ হবে।”

Post a Comment

Previous Post Next Post