কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কুখ্যাত ডাকাত মেরাজ ও তার বোন মাদক কারবারি তানিয়ার বিরুদ্ধে নির্যাতন, ছিনতাই, মিথ্যা মামলা ও মাদক ব্যবসার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জামালপুর গ্রামের অর্ধশতাধিক এলাকাবাসী। শনিবার সকাল ১১টায় ভৈরব প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তারা এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
ভুক্তভোগীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মেরাজ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য হিসেবে নানা অপরাধে লিপ্ত। প্রতিনিয়ত সে দলবল নিয়ে ডাকাতি করে। তার বোন তানিয়া বেগম এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, থানায় বারবার অভিযোগ করেও তারা প্রতিকার পাচ্ছেন না। বরং প্রতিবাদ করলে মেরাজ ও তানিয়া ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে থাকেন।
অটোচালক ইকবাল জানান, “গত ২১ জুন আমার অটোরিকশা ছিনতাই করে নেয় মেরাজ। পরে উল্টো আমাকে ফাঁসাতে থানায় মামলা করে।”
শফিক নামে এক যুবক বলেন, “৫ জুলাই রাতে মেরাজ আমার মোটরসাইকেল ছিনতাই করে।”
রুবেল বলেন, “ছয় মাস আগে আমার মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে সে।”
হোসেন মিয়া জানান, “২৬ জুন রাতে আমার বাইকও সে ডাকাতি করে।”
তারা অভিযোগ করেন, এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলেই নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এ ছাড়া, প্রাণনাশের হুমকিও কম নয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মেরাজের আপন চাচা জিল্লুর রহমান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “ভাতিজার অত্যাচারে আমি অতিষ্ঠ। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।”
সম্প্রতি একটি পিকআপভ্যানে থাকা তিন হাজার হাঁস ডাকাতির ঘটনায় মেরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে সে কারাগারে থাকলেও এলাকাবাসীর আশঙ্কা, জামিনে বেরিয়ে ফের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়বে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, মেরাজ ও তানিয়ার কারণে জামালপুর ও আশপাশের এলাকায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছেও অভিযোগ দেওয়া হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা ডাকাত মেরাজ ও তার বোন তানিয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Post a Comment