এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর উপর হামলা: কিশোরগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী নেতাদের তীব্র নিন্দা

গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৪ মে) সন্ধ্যায় গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এই হামলা হয় বলে এনসিপির বিভিন্ন নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন।

এই হামলার ঘটনায় এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ আহত হয়েছেন। জানা গেছে, হামলাকারীরা তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে ফেলে এবং তাঁর হাতে আঘাত লাগে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানান, “হাসনাত ভাইয়ের গাড়িতে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী গাজীপুর এলাকায় হামলা করেছে। গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে, তাঁর হাত রক্তাক্ত হয়েছে। আশপাশের সবাইকে অনুরোধ করছি, তাঁকে নিরাপত্তা দিন।”

ঘটনার তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ

ঘটনাটিকে রাজনৈতিক সহিংসতা আখ্যা দিয়ে এনসিপি নেতারা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, “চান্দনা চৌরাস্তায় যে হামলা হয়েছে, তা পরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে। এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য হুমকি।”

এদিকে, কিশোরগঞ্জ জেলার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক ইকরাম হোসাইন এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “হাসনাত আব্দুল্লাহ একজন সৎ ও সাহসী সংগঠক। তাঁর ওপর হামলা এই অঞ্চলের প্রগতিশীল রাজনীতির ওপর সরাসরি আঘাত। আমরা এর ন্যায্য বিচার দাবি করছি।”

সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্স বলেন, “এই হামলা কেবল ব্যক্তি হাসনাত আব্দুল্লাহকে নয়, বরং গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যবিরোধী চেতনার পথকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা। আমরা দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

পুলিশের ভূমিকা ও তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন

ঘটনার পরও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। হামলাকারীদের পরিচয় এবং হামলার কারণ সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। এনসিপি দাবি করেছে, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, হামলার সময় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য ব্যাহত হয়।

রাজনৈতিক উত্তেজনার পারিপার্শ্বিকতা

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনী উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই ধরনের সহিংসতা একটি অশনিসংকেত। শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সহিংসতা পরিহার করা অপরিহার্য।

Post a Comment

Previous Post Next Post