শরীফুল আলম ও হাজী ইসরাইলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পাকুন্দিয়ায় ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল

বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের সদ্যঘোষিত এডহক কমিটিতে কিশোরগঞ্জের দুই বিএনপি নেতার গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত হওয়াকে কেন্দ্র করে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মুখর হয়ে উঠেছে পাকুন্দিয়া উপজেলা। এই মনোনয়নে সন্তোষ প্রকাশ করে স্থানীয় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা এক বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিলের আয়োজন করে।

রোববার (৪ মে) বিকেলে পাকুন্দিয়া পৌর শহরের কেন্দ্রীয় বাজার এলাকায় এই আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন পৌর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক হোসেন সাগর। তিনি নবনির্বাচিত দুই নেতার প্রতি শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “এটি কিশোরগঞ্জের জন্য একটি গর্বের বিষয়। আমাদের নেতারা জাতীয় পর্যায়ে দায়িত্ব পেয়ে জেলার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।”

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলমকে উক্ত সংগঠনের আহ্বায়ক এবং জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়াকে কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাদের এই দায়িত্বপ্রাপ্তির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়।

আনন্দ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সামছুল আলম সবুজ, কিশোরগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক নাজমুল হুদা, সদ্যনির্বাচিত পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম তৌফিক এবং সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বিজয়। এছাড়াও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকরাও মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।

তৌফিকুল ইসলাম তৌফিক বলেন, “জাতীয় ক্রীড়া সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ এই কমিটিতে আমাদের নেতাদের পদপ্রাপ্তি, আগামী দিনের ছাত্ররাজনীতির জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হবে। আমরা আশাবাদী, তারা তাদের দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন।”

অন্যদিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, দলীয়ভাবে এটি একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করে। তারা বলছেন, “এই মনোনয়ন আমাদের জন্য শুধু গৌরবেরই নয়, দায়িত্বশীল নেতৃত্বের এক প্রতিচ্ছবিও।”

উল্লেখ্য, গত ৩ মে (শনিবার) কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষিত ৪৪ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের এডহক কমিটিতে এসব পদবিন্যাস চূড়ান্ত করা হয়। কমিটির লক্ষ্য হলো দেশের ক্রীড়াঙ্গনে সংগঠক পর্যায়ে নতুন গতি আনয়ন এবং স্থানীয় ক্রীড়া উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।

এদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের মনোনয়ন জেলা পর্যায়ের রাজনীতিতে নেতাকর্মীদের মধ্যে কার্যকর ও ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলবে। কিশোরগঞ্জের তরুণ রাজনীতিকদের জন্য এটি ভবিষ্যতের অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস হয়ে উঠবে বলেও মত দিয়েছেন তারা।

ছাত্রদলের এই আনন্দ মিছিল কেবল একটি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া নয়, বরং এর মধ্য দিয়ে দলীয় সংহতি এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও আশাবাদের প্রকাশ ঘটেছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post