ইসলামী ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দের সাথে হাসনাত আবদুল্লাহর সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রত্যয়

রিপোর্টার; আবু ইউসুফ সোহাগ 
রাজনীতিতে পারস্পরিক সম্পর্ক, বোঝাপড়া এবং ঐক্যের গুরুত্বের অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করলো ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এবং জুলাই আন্দোলনের মুক্তিযোদ্ধা হাসনাত আবদুল্লাহর মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক। ১২ মে ২০২৫, সোমবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে অবস্থিত ফজলুল করীম ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর, সহ-সভাপতি মুনতাছির আহমাদ, সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ানসহ সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। আলোচনায় অংশ নেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতারা।

এ বৈঠকে দুই পক্ষই পূর্বে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত ঘটনাগুলোর কারণে সৃষ্ট বিভ্রান্তি ভুলে গিয়ে সামনে একসাথে কাজ করার আশ্বাস দেন। বিশেষ করে ফ্যাসিবাদবিরোধী যে কোনো রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে একত্রে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।

বৈঠকের একপর্যায়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম ফোনে যুক্ত হন এবং হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি বলেন, “জাতি এখন কঠিন সময় পার করছে। এই সময়ে আমাদের একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ঐক্য ধরে রাখা জরুরি।” তিনি সকলকে শান্তি, সৌহার্দ্য ও পারস্পরিক যোগাযোগ বজায় রাখার পরামর্শ দেন।

এছাড়া, শাহবাগে পূর্বে ঘটে যাওয়া একটি দুঃখজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুনতাছির আহমাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে দুঃখ প্রকাশ করেন ডা. মাহমুদা মিতু। এটি পারস্পরিক সমঝোতার একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

উক্ত বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা সাইমুম সাদী, মাওলানা বদরুজ্জামান, এনসিপি নেতা আশরাফ মাহদী, সানাউল্লাহ খান, হাছিব আর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মিশকাতুল ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইমরান হোসাইন নূর, খায়রুল আহসান মারজান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ এবং প্রশিক্ষণ সম্পাদক হোসাইন ইবনে সারোয়ারসহ অনেকে।

এই বৈঠকটি শুধু একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়, বরং ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সমঝোতা ও সম্মিলিত আন্দোলনের সম্ভাবনার এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Post a Comment

Previous Post Next Post