হেফাজতের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ২২০টি, ৪৪টি নয়: মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার সংখ্যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠেছে। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের একটি ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করা হয়, হেফাজত সম্প্রতি ৪৪টি মামলার তালিকা জমা দিয়েছে। এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় বিভ্রান্তি ও নানা প্রশ্ন। তবে হেফাজতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মামলার প্রকৃত সংখ্যা ৪৪টি নয়, বরং তা ২২০টির মতো।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, মামলার তালিকা নতুন করে নয়, বহু আগেই যথাযথ প্রক্রিয়ায় সরকারকে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা হেফাজতের পক্ষ থেকে মামলা সংশ্লিষ্ট উপকমিটির সদস্যরা চার-পাঁচ মাস যাবত নিয়মিতভাবে যোগাযোগ, তদবির ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রস্তুত করে জমা দিয়েছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে দুবার আইন উপদেষ্টার কার্যালয়ে গিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছি।”

তিনি আরও জানান, আইন উপদেষ্টার দিকনির্দেশনায় প্রথমে ঢাকার জেলা প্রশাসকের (ডিসি) দপ্তরে মামলাগুলোর নথি জমা দেওয়া হয়। সেই সময় মহানগর সভাপতির সঙ্গে তিনিও উপস্থিত ছিলেন। মামুনুল অভিযোগ করেন, “আমি একাধিকবার পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) অফিসে গিয়ে মামলার অগ্রগতি তদারকি করেছি। ডিসি অফিসেও বারবার গিয়ে ধর্ণা দিয়েছি। পরে সেখান থেকে সুপারিশসহ মামলাগুলো মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। এমনকি কিছু মামলার বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে ইতিবাচক সংকেতও পাওয়া গেছে, যা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করার ইঙ্গিত ছিল।”

তবে, মামলার নিষ্পত্তি এখনো ঝুলে আছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তার ভাষায়, “পিপি এবং আদালতের মধ্যবর্তী কোনো পর্যায়ে মামলাগুলো আটকে আছে।”

আইন উপদেষ্টার সাম্প্রতিক মন্তব্য প্রসঙ্গে হেফাজতের এই নেতা বলেন, “আমরা হঠাৎ জেনেছি যে তিনি নিজেই মামলার তালিকা নিচ্ছেন এবং ৪৪টি মামলা উল্লেখ করেছেন। অথচ এটি হেফাজতের কোনো আনুষ্ঠানিক তালিকা নয়। আমাদের পক্ষ থেকে বহু আগেই পূর্ণাঙ্গ তালিকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা একাধিকবার সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।”

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠকের বিষয়টিও উল্লেখ করেন মামুনুল হক। তিনি বলেন, “গত ২৫ মে আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি বৈঠকে বসি। বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান সাহেবও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা এক মাসের মধ্যে মামলাগুলোর বিহিত করার আশ্বাস দিয়েছেন।”

এ নিয়ে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে হেফাজতের মামলার সংখ্যা ও তার নিষ্পত্তি নিয়ে চলমান অনিশ্চয়তা। হেফাজতের পক্ষ থেকে সুসংগঠিত ও আইনানুগ প্রক্রিয়ায় কাজ চললেও, সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ না এলে এ বিষয়ে জনমনে অসন্তোষ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।#হেফাজতে_ইসলাম #মামুনুল_হক #আইনি_প্রক্রিয়া #মামলা_প্রত্যাহার #বাংলাদেশ_রাজনীতি #ডঃআসিফনজরুল #ধর্মীয়_সংগঠন #BreakingNews #BangladeshNews #SEOnews


---

Post a Comment

Previous Post Next Post