স্টাফ রিপোর্টার: কিশোরগঞ্জ সংবাদ
কিশোরগঞ্জ শহরের রাস্তায় চলাচল করা অটোরিকশাগুলো সাধারণ মানুষের চলাচলের অন্যতম প্রধান বাহন হলেও বর্তমানে এই যানবাহনটি হয়ে উঠেছে ভোগান্তির কারণ। নির্ধারিত ভাড়ার তোয়াক্কা না করে কিছু অসাধু অটোরিকশা চালক ও মালিক সমিতির খামখেয়ালিপনায় শহরের সাধারণ মানুষ ও বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ, অটোরিকশা চালকরা নির্ধারিত ভাড়া মানছেন না। মরিচখালী থেকে একরামপুর কিংবা একরামপুর থেকে মরিচখালী বাজার পর্যন্ত সরকারি কিংবা সমিতি নির্ধারিত ভাড়া যেখানে ৪০ টাকা, সেখানে চালকরা দাবি করছেন ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। এমনকি সন্ধ্যার পর এই ভাড়া আরও বেড়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
শহরের একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা শহরের বাইরের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে পড়াশোনা করি। যাতায়াতের জন্য প্রতিনিয়তই অটোরিকশা ব্যবহার করতে হয়। বাড়তি ভাড়া দিতে গিয়ে বাবার কাছ থেকে নেয়া টাকাও শেষ হয়ে যায়। নিজেরাও এখনো উপার্জন করি না, তাই এই বাড়তি ভাড়া আমাদের জন্য অনেক কষ্টদায়ক।”
শুধু শহরের অভ্যন্তরেই নয়, এই ভাড়াবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে শহরতলী এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোর সড়কেও। কিশোরগঞ্জ-তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুর সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীরাও অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগ তুলেছেন।
কটিয়াদী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গ্রেফতার
তাড়াইল থেকে কিশোরগঞ্জ আসা এক যাত্রী বলেন, “আমি নিয়মিত এই রুটে যাতায়াত করি। কিন্তু এখন অনেক চালকই অতিরিক্ত ভাড়া চাইছে। কারণ জানতে চাইলে বলে ‘রাস্তা খারাপ, গাড়ি উঠছে না ঠিকমতো।’”
অন্যদিকে, মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বারবার ভাড়া পরিবর্তন ও নিজেদের মতো করে হার নির্ধারণ করায় যাত্রীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ ও ক্ষোভ।
অটোরিকশা মালিক সমিতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সময়ভেদে, এমনকি দিনের বিভিন্ন ভাগেও ভাড়া বাড়িয়ে নিচ্ছে। ফলে, ন্যায্য ভাড়ায় যাতায়াত করা সাধারণ যাত্রীদের জন্য হয়ে উঠেছে দুঃসাধ্য। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে এই অনিয়ম সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এই ভোগান্তির দ্রুত সমাধান চেয়ে শহরের সাধারণ জনগণ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা চান, অটোরিকশা ভাড়া নির্ধারণে স্বচ্ছতা আসুক এবং নিয়মিত নজরদারি নিশ্চিত হোক যাতে কেউ ইচ্ছেমতো ভাড়া নির্ধারণ করতে না পারে।
Post a Comment