আজ ২০ এপ্রিল ভোরবেলা কিশোরগঞ্জ শহরে হঠাৎ করেই অনুষ্ঠিত হয় একটি রহস্যজনক ঝটিকা মিছিল। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মিছিলটি ছিল অল্প সময়ের জন্য এবং এতে অংশ নেয় প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন তরুণ। তারা মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিলে অংশ নেয়, যা জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি করে।
ঘটনাস্থল হিসেবে ধরা হচ্ছে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের বিন্নাটি মোড় এলাকা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মিছিলকারীরা হঠাৎ করে জড়ো হয়ে কিছুক্ষণ স্লোগান দেয় এবং দ্রুত সময়ের মধ্যেই এলাকা ত্যাগ করে। পুরো ঘটনা কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘটে যায়, যার ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “আমরা এই ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী তরুণদের শনাক্ত করার জন্য সিসিটিভি ফুটেজসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করছি। জনসুরক্ষার স্বার্থে এমন মিছিল যেন পুনরায় না ঘটে, সে জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
এছাড়াও, জেলার অন্যান্য কিছু এলাকায়ও আওয়ামী লীগের সমর্থকদের অনুরূপ ঝটিকা মিছিলের খবর পাওয়া গেছে বলে জানায় স্থানীয় সূত্রগুলো। তবে এসব মিছিলের পেছনে কারা রয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য কী—তা এখনো স্পষ্ট নয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের আচমকা মিছিল মূলত সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শনের একটি কৌশল হতে পারে, তবে মুখোশ পরে অংশগ্রহণ করায় প্রশ্ন উঠেছে এর প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে। মুখোশ পরিধান করে প্রকাশ্যে মিছিল করার বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সাধারণ জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। কেউ কেউ এটিকে রাজনৈতিক কর্মসূচির একটি অংশ হিসেবে দেখলেও, অধিকাংশই এই ধরনের আচমকা ও গোপন মিছিলকে জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছেন।
এদিকে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি এবং মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে এবং সাধারণ মানুষের মাঝে ভীতির সঞ্চার করতে পারে।
পরিশেষে, প্রশাসন এবং স্থানীয়দের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এই ধরনের আচমকা কর্মসূচি দমন সম্ভব বলে মত প্রকাশ করেছেন সচেতন নাগরিকরা।
Post a Comment