র‌্যাবের অভিযানে কিশোরগঞ্জে ডাকাতি মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ রাইয়্যান 
র‌্যাব-১৪ এর একটি বিশেষ অভিযানে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার শ্রীমন্তপুর এলাকা থেকে ডাকাতি মামলার পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মো. হোসেন (৪৫), যিনি পূর্বেও একাধিক মামলার আসামি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, র‌্যাব-১৪ এর সিপিসি-২ ইউনিট দীর্ঘদিন ধরে এই আসামির উপর নজর রাখছিল। তার বিরুদ্ধে ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি ডাকাতির মামলা রয়েছে। মামলাটি নথিভুক্ত হয় মামলা নম্বর ৪৫/৪৫ হিসেবে এবং এতে দণ্ডবিধির ৩৯৫/৩৯৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। হোসেন ওই মামলায় তদন্তাধীন প্রধান আসামি হিসেবে চিহ্নিত ছিলেন।

র‌্যাবের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, মো. হোসেন দীর্ঘদিন ধরে কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে স্থানীয়দের কাছ থেকেও বহু অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল সোমবার রাতে শ্রীমন্তপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারের পর হোসেনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার নাম ও অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে র‌্যাব জানায়। পরে তাকে আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

র‌্যাব-১৪ এর এই অভিযান এলাকায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি বজায় রাখতে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে তাদের কার্যকর ভূমিকার প্রমাণ বহন করে। র‌্যাব কর্মকর্তারা আরও জানান, এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে এবং যেকোনো অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে তারা সদা প্রস্তুত।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মো. হোসেন ছিলেন এলাকায় একটি আতঙ্কের নাম। দীর্ঘদিন ধরে তিনি গোপনে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন, যার ফলে সাধারণ মানুষ ছিল ভীত ও আতঙ্কিত। তার গ্রেফতারে এলাকার মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এবং র‌্যাবের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় অপরাধ দমনে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশেষ করে ডাকাতি, মাদক, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি দমন অভিযানে র‌্যাবের সফলতা প্রশংসনীয়।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতে এমন অপরাধীদের ধরতে গোয়েন্দা তৎপরতা আরও বাড়ানো হবে এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post