ভৈরব প্রতিনিধি ॥
“পথ যেন হয় শান্তির, মৃত্যুর নয়”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ভৈরবে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ভৈরব শাখা আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে রোড ক্যাম্পেইন ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি আয়োজন করেছে।
ঢাকা–সিলেট ও ভৈরব–ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভৈরব প্রান্তের দুর্জয় চত্বরে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে যাত্রী, চালক ও পথচারীদের হাতে সচেতনতামূলক লিফলেট তুলে দেওয়া হয়।
সচেতনতার আহ্বান
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রত্যেককে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, হেলমেট বা সিটবেল্ট ছাড়া যাত্রা করা, রাস্তায় অযথা আড্ডা দেওয়া কিংবা অসতর্কভাবে রাস্তা পারাপার—এসব অনিয়মই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। আইন মেনে চললে সড়ক হতে পারে নিরাপত্তার প্রতীক, মৃত্যুর নয়।
তারা আরও বলেন, ভৈরব বাসস্ট্যান্ড দুর্জয় চত্বরের আশপাশের ২০০ গজ এলাকায় যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করা, সিএনজি ও অটোরিকশার জন্য নির্ধারিত স্থানে স্ট্যান্ড নিশ্চিত করা এবং রাস্তার দু’পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এখন সময়ের দাবি। এসব বিষয়ে প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ কামনা করেন নিসচা নেতৃবৃন্দ।
প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতি
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভৈরব হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহাবুর রহমান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. ফিরোজ আলম, টি এস আই হারুন উর রশীদ, সাব-ইন্সপেক্টর রুকুনুজ্জামান।
এছাড়া অংশ নেন ভৈরব বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবু বায়েছ মিয়া, সহ-সভাপতি মো. সেলিম মিয়াসহ পরিবহন খাতের নেতৃবৃন্দ।
নিসচার সক্রিয় ভূমিকা
নিসচার পক্ষ থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সহায়তা ও লিফলেট বিতরণে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য মো. আলাল উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক ও উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন সুজন, যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক ইমরান হোসাইন, প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব সজিব আহমেদসহ কার্যকরী সদস্য মো. জাকির হোসেন, জাকির হোসেন বিএসসি, ফরহাদ আহমেদ, আমজাদ হোসেন, আশরাফুল আলম, মো. জহিরুল ইসলাম, তাসলিমা বেগম লিছা, তোফাজ্জল হোসেন, রঞ্জিতা বেগম, ফারজানা সাদেহা, রুবেল আহমেদ, আবেদ হোসেন পলাশ, কাজল মিয়া, হাজী কুদ্দুছ, লোকমান মিয়া, ইমরান হোসেন, মো. জামাল মিয়া ও মো. শফিকুল ইসলাম।
এছাড়াও ভৈরবের ইয়াং বাংলা ক্লাবের একটি সুসজ্জিত টিম সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
জনসম্পৃক্তির দিকেই জোর
কর্মসূচিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকদের উপস্থিতি কর্মসূচিকে প্রাণবন্ত করে তোলে। বক্তারা বলেন, নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করা গেলে নিরাপদ সড়ক গড়া সম্ভব।
Post a Comment