পরকীয়ার বলি দেড় বছরের শিশু কন্যা

পরকিয়ার বলি দেড় বছরের শিশু কন্যা
ভৈরবে দেড় বছরের কন্যা শিশুকে গলা টিপে হত্যা করে সাজিয়ে ছিল কান্নার নাটক
জয়নাল আবেদীন রিটন, ভৈরব ॥
মাত্র দেড় বছরের শিশু নুসরাতকে গালা টিপে হত্যা করে মায়া কান্নার নাটক সাজিয়ে পাশেই বসে ছিলেন পাষন্ড মা আয়েশা বেগম। কান্নার আওয়াজ শুনে পাশর্^বর্তী মানুষ এসে দেখে পাশেই পড়ে আছে শিশুটির নিথর মরদেহ। ৃত্যুর কারন জানতে চাইলে কিছুই বলছিলেননা ওই মা। তখন সন্দে হলে পুলিশে খবর দেয় দেখতে আসা লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে শিশুর মরদেহ উদ্ধার সহ ওই পাষন্ড মাকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ হেফাজতে স্বীকার করেছে পরকিয়ার জেরেই শিশুকে হত্যা করেছে। গতকাল সন্ধা সাাড়ে সাতটার সময় ভৈরব পৌর শহরের লক্ষিপুর এলাকায় শাহরিয়ার কবিরের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল রাত নয়টার দিকে নূসরাত কে গলাটিপে হত্যার পরপরই গা ঢাকা দেয় আলমগীর।

নুসরাতের দাদা আবুল কালাম জানান ৪ বছর পূর্বে ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা গ্রামের মন্নান মিয়ার মেয়ে আয়েশার সাথে বেলাবো উপজেলার নিলক্ষিয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে উমর ফারুকের সাথে বিয়ে হয়। ৪ বছরের বিবাহিত জীবনে তারা আলিফ ও নূসরাত নামের দুটি সন্তানের জনক জননী হন তারা। গত দেড় মাস পূর্বে বড় ছেলেটি কে দাদার বাড়িতে ফেলে রেখে মেয়ে নূসরাত কে সাথে নিয়ে প্রেমিক আলমগীরের হাত ধরে পালিয়ে আসে আয়েশা। দেড় মাস ধরে তারা বিবাহ না করেই লক্ষিপুরের শাহরিয়ার কবিরের বাড়ীতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। শিশুটিকে হত্যার পর পরই আলমগীর পালিয়ে যেতে দেখা গেছে বলে জানান স্থানীয়রা। এ ঘটনায় নিহত নুসরাতের দাদা আবুল কালাম বাদী হয়ে আয়েশা ও তার প্রেমিক আলমগীরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আজ দুপুরে আসামী আয়েশাকে কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

মামলার বাদী দাদা আবুল বলেন, আমার দেড় বছরের নাতনীকে ওই পাষন্ড মা গলা টিপে গাড় মটেিকয় নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। আমি ওই পাষন্ড নারীরর সর্বোচ্ছ শাস্তি চাই। ওই নারী তার পরকিয়া প্রেমিক আলমগীরের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ধরে রাখতৈই আমার নাতনীকে হত্যা করেছে। 

ভৈরব থানার ওসি ফোয়াদ রুহানী বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে শিশুটির মরদেহ উদ্ধারসহ শিশুটির মা আয়েশাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি। রাত ভর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে নূসরাত কে গলাটিপে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আমরা তাকে ১৬৪ ধারায় জবান্দী আদায়ের জন্য বিজ্ঞ মেজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করেছি। তার প্রেমিক আলমগীর কে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
 

Post a Comment

Previous Post Next Post