কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় প্রবাসী হাবিবুল্লাহ হত্যা মামলার প্রধান আসামি হেলাল উদ্দিনকে এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার গাংধোয়ারচর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত জনতা পরে তার বাড়িতেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
হেলাল উদ্দিন গাংধোয়ারচরের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি হাবিবুল্লাহ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত এক নম্বর আসামি। এর আগে এই মামলায় পুলিশ আরও দুইজন—কফিল উদ্দিন ও কুরফুলা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।
নিহত হাবিবুল্লাহ একই গ্রামের বাসিন্দা ও মৃত শামছুদ্দিনের ছেলে। দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর সম্প্রতি দেশে ফিরেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার জুমার নামাজে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের স্ত্রী নিলুফা আক্তার বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এজাহারে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
শনিবার সকালে আসামি হেলাল উদ্দিন নিজ গ্রামে অবস্থান করছিলেন। তাকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে নিহতের স্বজন ও গ্রামবাসী। পরে উত্তেজিত জনতা তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয় এবং পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে হেলালকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। একই সময় জনতা হেলালের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, “হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামিসহ এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।#কিশোরগঞ্জ #পাকুন্দিয়া #হত্যামামলা #প্রবাসীহত্যা #গণধোলাই #বাংলাদেশসংবাদ #আসামিগ্রেপ্তার #আইনশৃঙ্খলা
Post a Comment