সংসদে আলেমদের জন্য ৩০টি সংরক্ষিত আসন রাখার প্রস্তাব আলেমদের

সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ করার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে দেশের বরেণ্য আলেম ও শিক্ষা ব্যক্তিত্ব মুফতি মুঈনুল ইসলাম সংসদে আলেম প্রতিনিধিদের জন্য সংরক্ষিত আসনের দাবি জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর এই দেশে ইসলামের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে এটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ হবে।

মুফতি মুঈনুল ইসলাম বলেন, "দেশের আটটি বিভাগ থেকে মোট ৩০ জন আলেমের জন্য সংসদে সংরক্ষিত আসন নির্ধারণ করা হোক। এই বিষয়ে আমরা বিনীতভাবে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানাই। সেইসঙ্গে দেশের প্রথিতযশা উলামা-মাশায়েখদের প্রতি অনুরোধ জানাই, যেন এই প্রস্তাবকে জাতীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়।"

তিনি আরও বলেন, "যেহেতু সংসদীয় ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, সেহেতু ইসলামের আলোকে রাষ্ট্রের ভিত্তিকে শক্তিশালী করতে হবে। এই সংস্কারে কেবল নারী আসন নয়, বরং ইসলামি প্রতিনিধিত্বের দিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।"

মুফতি মুঈনুল ইসলামের মতে, “এই দেশে ইসলাম টিকে থাকলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বও নিরাপদ থাকবে। দেশের আলেমদের শুধু আজান দেওয়া কিংবা জানাজা পড়ানোর সীমায় বন্দি করে রাখা উচিত নয়, বরং তাদের সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়া সময়ের দাবি। এটি কোনোভাবেই দেশের জন্য ক্ষতির কারণ হবে না; বরং জাতীয় ঐক্য ও নৈতিক ভিত্তি আরও মজবুত হবে।”

তিনি উল্লেখ করেন, "বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে যদি 'মসজিদের নগরী' বলা হয়, তবে এই নগরীর মূল প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠানে মসজিদের আদর্শিক প্রতিনিধিত্ব থাকা অতি যৌক্তিক।"

এমন একটি উদ্যোগ দেশের গণতন্ত্র, ধর্মীয় সহনশীলতা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে বলে তিনি অভিমত দেন।#সংসদেআলেম #ইসলামিপ্রতিনিধিত্ব #মুফতীমুঈনুলইসলাম #সংরক্ষিতআসন #বাংলাদেশসংসদ #ধর্মীয়প্রতিনিধিত্ব #ইসলামএবংরাষ্ট্র #আলেমদেরদাবি

Post a Comment

Previous Post Next Post