আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাফর ইকবালকে জেলার সেরা পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ২৫ মে রোববার জেলা পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি), যিনি এপ্রিল ২০২৫ মাসের পারফরমেন্স মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম ঘোষণা করেন। অফিসার ইনচার্জদের মধ্যে সেবা, সততা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং জনসেবায় বিশেষ অবদানের ভিত্তিতে ওসি জাফর ইকবালকে ‘মাসসেরা অফিসার ইনচার্জ’ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
এ সময় পুলিশ সুপার ওসি জাফর ইকবালসহ অন্যান্য পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন। একই অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) হিসেবে পুরস্কার পান এসআই অনিল দাস। তার ক্ষেত্রেও দায়িত্বশীলতা, তদন্ত দক্ষতা এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যকর তৎপরতা মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, একজন অফিসার ইনচার্জের কার্যকর নেতৃত্ব ও নিষ্ঠাবান মনোভাবই থানার সার্বিক সেবার মান উন্নয়নে মুখ্য ভূমিকা রাখে। ওসি জাফর ইকবালের নিরলস পরিশ্রম, সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও মানবিক আচরণ জনগণের আস্থা অর্জনে ভূমিকা রেখেছে।
সভায় পুলিশ সুপার বলেন, “আমরা চাই প্রত্যেক থানা থেকে এমন উদাহরণ সৃষ্টি হোক, যেখানে জনসেবাই হবে প্রধান লক্ষ্য। আজকের এই পুরস্কার কেবল একজন কর্মকর্তার স্বীকৃতিই নয়, বরং পুরো জেলা পুলিশের অনুপ্রেরণা।”
ওসি মো. জাফর ইকবাল সম্মাননা গ্রহণের পর বলেন, “এই পুরস্কার আমার একার কৃতিত্ব নয়। ইটনা থানার প্রতিটি সদস্য নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন বলেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। জনগণের পাশে থেকে সেবা করা এবং অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
অপরদিকে এসআই অনিল দাস বলেন, “এই সম্মাননা আমাকে আরও বেশি দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।”
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতি মাসেই নিয়মিতভাবে এমন মূল্যায়নের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের কাজের স্বীকৃতি দেওয়া হয়, যা তাদের আরও উৎসাহিত করে এবং পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি করে।
স্থানীয় জনগণের মন্তব্য অনুযায়ী, ওসি জাফর ইকবাল দায়িত্ব গ্রহণের পর ইটনা থানায় সেবা গ্রহণে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। থানায় সুশৃঙ্খল পরিবেশ, দ্রুত অভিযোগ গ্রহণ, এবং স্বচ্ছ তদন্ত পদ্ধতির মাধ্যমে থানার ভাবমূর্তি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
পুলিশের এই সম্মাননা কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কাজ করা কর্মকর্তাদের নৈতিকভাবে আরও দৃঢ় করে তোলে বলে মনে করেন আইনশৃঙ্খলা বিশ্লেষকরা।#শ্রেষ্ঠ_ওসি #জাফর_ইকবাল #ইটনা_থানা #কিশোরগঞ্জ_পুলিশ #পুলিশ_সম্মাননা #বাংলাদেশ_পুলিশ #পেশাদার_সাংবাদিকতা #নিরাপদ_সমাজ
Post a Comment