করিমগঞ্জ প্রতিনিধি ; রাইয়্যান
কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলায় র্যাবের একটি সফল অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধারসহ এক পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৬ মে (শুক্রবার) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে র্যাব-১৪ এর সিপিসি-২ ইউনিট এই অভিযান চালায়। অভিযানের সময় করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখলা এলাকায় অবস্থান করছিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তি।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে যে, এক মাদক কারবারি গাঁজার বড় একটি চালান নিয়ে বালিখলা এলাকায় অবস্থান করছে। তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরপরই র্যাব সদস্যরা এলাকা ঘিরে ফেলে এবং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে গ্রেফতার করা হয় আব্দুল আজিজ (৩৫) নামের এক মাদক কারবারিকে। তিনি শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার দক্ষিণ কায়দা গ্রামের বাসিন্দা এবং ইসরাক আলীর পুত্র।
অভিযানে তার কাছ থেকে মোট ৮ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা বলে র্যাব সূত্রে জানা গেছে। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব-১৪ এর একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, “আমরা গোপন সূত্রে আগেই নিশ্চিত ছিলাম যে মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ ওই এলাকায় মাদক সরবরাহের জন্য আসবে। আমরা প্রস্তুতি নিয়ে তার গতিবিধির উপর নজরদারি শুরু করি এবং সঠিক সময়েই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।” তিনি আরও জানান, দেশের মাদকবিরোধী কার্যক্রম জোরদারের অংশ হিসেবে র্যাবের এমন অভিযান চলমান থাকবে।
এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসীর অনেকে র্যাবের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা বলছেন, মাদকের প্রভাব দিনদিন বেড়ে যাওয়ায় এলাকার তরুণ সমাজ ক্ষতির মুখে পড়ছে। তাই এই ধরনের অভিযান আরও নিয়মিত এবং বিস্তৃত পরিসরে হওয়া দরকার।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা আগের চেয়ে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই র্যাব, পুলিশ এবং বিজিবির যৌথ অভিযানে মাদক চোরাচালান রোধে কাজ করা হচ্ছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মাদক প্রবাহ ঠেকাতে নেয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা।
র্যাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা মাদকের মূল উৎপাদন ও সরবরাহ চক্র চিহ্নিত করে একে একে ধরতে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তথ্যভিত্তিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
এ ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো যে, র্যাবের তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারির কারণে বড় মাদক চক্রগুলো ধরা পড়ছে এবং সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
Post a Comment