দেশত্যাগ করা সাবেক রাষ্ট্রপতি তিনি বিস্ফোরক মামলার আসামিছিলেন

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় দায়ের হওয়া একটি বিস্ফোরক মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে নাম উঠেছে। মামলায় তাঁকে ‘হুকুমদাতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ চলাকালে একটি মিছিলে হামলা, গুলি ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগে এই মামলা দায়ের হয়। মামলার বাদী কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর লতিবাবাদ এলাকার বাসিন্দা তহমুল ইসলাম মাজহারুল। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ১২৪ জনের নাম রয়েছে। এছাড়া, অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫০ জনকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলাটি ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় রেকর্ড করা হয়, যেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের নাম এজাহারে ৩ নম্বরে রয়েছে। মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে "গণহত্যায় নির্দেশ প্রদান" করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে জানান, মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। সাবেক রাষ্ট্রপতি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন কি না—সে বিষয়ে থানার কাছে কোনো তথ্য নেই, এবং আদালত থেকেও জামিন সংক্রান্ত কোনো আদেশ থানায় পৌঁছেনি।

এরই মধ্যে ৭ মে দিবাগত রাত ৩টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন মো. আবদুল হামিদ। হঠাৎ তাঁর দেশত্যাগ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ও শিক্ষাঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post