ভৈরব শহরকে ছিনতাই মুক্ত করতে মত বিনিময় সভা

ভৈরব প্রতিনিধি ; জয়নাল আবেদীন রিটন 
ভৈরব শহরে সম্প্রতি বেড়ে চলা ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। পথচারী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী—সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্যে আতঙ্কিত। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ছিনতাই প্রতিরোধে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

আজ ২৭ মে সকাল ১১টায় ভৈরব প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এই সভার আয়োজন করে ‘ভৈরব নাগরিক সমাজ ঐক্য পরিষদ’। সভাপতিত্ব করেন পরিষদের আহ্বায়ক আর এ মারুকী শাহিন। সভাটি সঞ্চালনা করেন এশিয়ান টিভির ভৈরব প্রতিনিধি আলহাজ্ব সজিব আহমদ।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ভৈরবের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অতিথিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন: উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, ভৈরব টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান ফারুক, প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব সোহেলুর রহমান, রিপোটার্স ক্লাব ও ইউনিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম তাজ ভৈরবী, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আক্তারুজ্জামান, সাবেক কাউন্সিলর মাহিন সিদ্দিক, ছাত্রদল নেতা আনিসুল রহমান কাপন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব আফজাল হোসেন, চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক তানভীর আহমেদ এবং গণ অধিকার পরিষদের নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল।

সভায় বক্তারা বলেন, ভৈরব শহরে ছিনতাইয়ের ঘটনা যেন নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে হলে সামাজিক ঐক্য এবং আইনি পদক্ষেপ উভয়ই জরুরি। তাঁরা জানান, শুধু প্রশাসনের ওপর নির্ভর না করে জনগণকেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হলে অপরাধ দমন সহজ হবে। তাছাড়া, পাড়া-মহল্লায় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্যোগে নিরাপত্তা টহল বা ‘ওয়াচ গ্রুপ’ গঠন করা যেতে পারে। ছিনতাইকারীরা যেন সহজে জামিন না পায়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে আদালতের প্রতি স্মারকলিপি দেওয়া উচিত।

সভায় আলোচকরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেন আরো সক্রিয় এবং কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়। পাশাপাশি, তরুণ সমাজকে সচেতন করে ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ থেকে দূরে রাখতে সামাজিক কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান জানান বক্তারা।

এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শহরের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তাঁরা প্রত্যেকে একমত পোষণ করেন যে, ভৈরব শহরকে নিরাপদ রাখতে হলে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

এই মতবিনিময় সভা স্থানীয় জনগণের মধ্যে নিরাপত্তা সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকেরা। সভা শেষে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়, যেখানে আগামী এক মাসের মধ্যে নাগরিকদের অংশগ্রহণে একটি ছিনতাইবিরোধী প্রচারাভিযান চালানো হবে।
#ভৈরব #ছিনতাই_প্রতিরোধ #নাগরিক_উদ্যোগ #সামাজিক_নিরাপত্তা #ভৈরব_সংবাদ

Post a Comment

Previous Post Next Post