চাঁদপুরে একটি হ*ত্যা মামলায় ২০ বছরের মতো কারাভোগ করার পর,আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হয়শতবর্ষী এক নারী -অহিদুন্নেসা।

নিউজ ডেস্ক 
চাঁদপুর জেলার এক হ*ত্যা মামলায় প্রায় দুই দশক কারাভোগের পর নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে অবশেষে মুক্তি পেলেন শতবর্ষী নারী অহিদুন্নেসা বেগম। সোমবার (তারিখ দিন) কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে কারাগারের চার দেয়ালের মাঝে জীবন কাটানোর পর আদালতের রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হন তিনি।

কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, "তার বয়সের ভারে ন্যুব্জ অহিদুন্নেসা প্রায়ই ভাবতেন হয়তো কারাগারেই তার মৃত্যু হবে। চলাফেরায় অসুবিধা ছিল, শরীর ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছিল। মুক্তির আগেই তার দৃষ্টিশক্তি প্রায় পুরোপুরি হারিয়ে গিয়েছিল।"

কারাগারে থাকা অবস্থাতেই তিনি হারান তার স্বামী ও একমাত্র সন্তানকে। পরিবারের সদস্যদের মুখ শেষবার কবে দেখেছেন, তা হয়তো তার স্মৃতির ধূসর প্রান্তেই রয়ে গেছে।

অহিদুন্নেসা বলেন, "আল্লাহর রহমতে আজ মুক্তি পেয়েছি। যারা আমাকে মুক্ত করতে চেষ্টা করেছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।"

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, সমাজের কিছু মানবাধিকারকর্মী ও আইনি সহায়তাদানকারী সংস্থার সহায়তায় শেষ পর্যন্ত আদালতে তার নির্দোষ প্রমাণ সম্ভব হয়।

এই ঘটনাটি আবারো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, দেশের বিচার ব্যবস্থায় কতটা দীর্ঘসূত্রতা ও অনিচ্ছাকৃত অবিচার বিদ্যমান। অহিদুন্নেসার মতো আরও কত শত নিরীহ মানুষ বছরের পর বছর ধরে ভুল মামলায় বন্দি হয়ে আছেন, তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। কিন্তু গণমাধ্যমে আলোচনায় আসে হাতে গোনা কয়েকজনের নামই।

সোনার বাংলায় সত্যিই কি সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে?
অহিদুন্নেসার কষ্টের কাহিনী আমাদের এ প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post