করিমগঞ্জ সংবাদদাতা: আবু ইউসুফ সোহাগ
“নেতা নয়, চাই নীতির পরিবর্তন”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ করিমগঞ্জ থানা শাখা ধারাবাহিকভাবে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সংগঠন বিস্তারে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
গত রবিবার (৪ মে ২০২৫) বিকাল ৩টায় জাফরাবাদ ইউনিয়নের জাল্লাবাদ জামে মসজিদে আয়োজিত এক সভায় ৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জাফরাবাদ ইউনিয়ন শাখার সভাপতি জনাব ইয়াসিন আহমেদ।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইয়াসিন আহমেদ বলেন, “আমরা এমন একটি সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখি যেখানে নেতৃত্ব হবে মানবিক, নৈতিক ও বৈষম্যহীন। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কেবল নেতৃত্ব তৈরির সংগঠন নয়, এটি একটি আদর্শ মানুষ তৈরির প্ল্যাটফর্ম। জাফরাবাদের প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা ধারাবাহিকভাবে এ কাজ সম্পন্ন করবো, ইনশাআল্লাহ।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন জাফরাবাদ ইউনিয়ন শাখার কওমি মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ আবু নাইমসহ অন্যান্য দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
ওয়ার্ড কমিটি গঠনের আনুষ্ঠানিক অংশে ইউনিয়ন সভাপতি ইয়াসিন আহমেদ নতুন কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন। ৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ হৃদয় আহমেদ, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নয়ন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান মোঃ সাজিদ আহমদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন মোঃ রাফি। কমিটি ঘোষণার পর তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ পাঠ করান ইউনিয়ন সভাপতি।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মতে, ওয়ার্ড কমিটি গঠনের মাধ্যমে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী হবে এবং শিক্ষার্থী ও যুব সমাজের মাঝে আদর্শ নেতৃত্ব বিকাশে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
উল্লেখ্য, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মূলত ইসলামী আদর্শে শিক্ষিত, নৈতিক ও দেশপ্রেমিক ছাত্র নেতৃত্ব গঠনের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। করিমগঞ্জ উপজেলায় সংগঠনটির তৎপরতা ইতোমধ্যেই নতুন গতি পেয়েছে এবং ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে তৃণমূলের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে।
স্থানীয় পর্যায়ের এই কমিটি গঠন কার্যক্রমকে ভবিষ্যতের বৃহৎ নেতৃত্ব তৈরির বীজতলা হিসেবে দেখছেন সংগঠনের সংশ্লিষ্টরা। তাঁদের মতে, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের এই সময়ে আদর্শিক নেতৃত্বই হতে পারে সত্যিকার পরিবর্তনের চালিকাশক্তি।
কমিটি গঠনের এই কর্মসূচি শুধু সংগঠনের বিস্তারে নয়, বরং তরুণ সমাজকে সঠিক পথনির্দেশনার মাধ্যমে ইসলামী মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করে একটি সুস্থ ও ইতিবাচক সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজকরা।
Post a Comment