কিশোরগঞ্জ গণহত্যারকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে ছাত্র জনতা

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের শাসনকালে সংঘটিত গণহত্যার বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ৯ মে, শুক্রবার বাদ জুম্মা ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদে জমায়েত হওয়ার জন্য প্রতিবাদী ছাত্ররা প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজক হিসেবে সামনে রয়েছে ‘জুলাই বিপ্লবী ছাত্র-জনতা কিশোরগঞ্জ’।

বিক্ষোভ মিছিলের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, আওয়ামী লীগের গণহত্যার দায়ী নেতাদের বিচার দাবি করা এবং রাজনৈতিকভাবে তাদের নিষিদ্ধ করা। আয়োজকরা দাবি করেছেন যে, কিশোরগঞ্জের এই ঐতিহাসিক মসজিদে সংঘটিত একাধিক সহিংস ঘটনায় ফ্যাসিস্ট শাসক দল আওয়ামী লীগ সরাসরি দায়ী। ছাত্ররা এর মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে চায় এবং তাদের দমনমূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চায়।

সমাবেশে বক্তারা এ বিষয়ে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করবেন এবং সরকারের প্রতি এই গণহত্যার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাবেন। এছাড়া, মিছিলের মাধ্যমে ছাত্ররা তাদের দাবি তুলে ধরবে যে, আওয়ামী লীগ ও তার শাসকগোষ্ঠীকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

এদিকে, প্রতিবাদী ছাত্রদের দাবি, দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ন্যায়বিচারের কোনও নিশ্চয়তা নেই, বরং তাদের শাসনাধীনে একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। কিশোরগঞ্জের শহীদি মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় একাধিক ঘটনাতে সাধারণ জনগণের ওপর নির্মম হামলা চালানো হয়েছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এসব কারণে, ছাত্ররা মনে করে, শুধুমাত্র আওয়ামী লীগই এইসব ঘটনাকে নীরবভাবে সমর্থন করেছে।

এছাড়া, প্রতিবাদ মিছিলটি কিশোরগঞ্জের নাগরিকদেরও সমর্থন পাবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন। ছাত্রদের মতে, এই মিছিল শুধু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয়, বরং একটি বৃহৎ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্যও উদ্যোগী। তারা বিশ্বাস করেন, জনগণ যদি একতাবদ্ধ হয়ে শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে, তবে দেশব্যাপী পরিবর্তন আনা সম্ভব।

সমাবেশ এবং প্রতিবাদ মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য আয়োজকরা সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। তারা আশা করেন, পুলিশসহ প্রশাসন যাতে তাদের সহায়তা প্রদান করে এবং যাতে কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবে।

এই প্রতিবাদ মিছিলটি কিশোরগঞ্জের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হতে চলেছে, যেখানে ছাত্ররা তাদের অধিকারের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য এবং ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার জন্য একত্রিত হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post