সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, যিনি বর্তমান সরকারের পতনের পর দেশে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ছিলেন, গোপনে দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রের মতে, আবদুল হামিদ রাত ১১টার দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছান এবং প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তার বিদেশ যাত্রার জন্য অনুমতি পান। কিছুক্ষণ পর, থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে তিনি ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। এই ঘটনা ঘটলেও, আবদুল হামিদের দেশ ত্যাগের বিষয়টি প্রথমে গোপন রাখা হয়েছিল।
এদিকে, সাবেক রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বেশ কিছু বিতর্কিত অভিযোগ রয়েছে। কিশোরগঞ্জ সদর থানায় গত ১৪ জানুয়ারি একটি হত্যা মামলার দায়ে আবদুল হামিদের নাম ওঠে আসে। ওই মামলায় তিনি ছাড়াও আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নাম রয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আবদুল হামিদ সরকারের অধীনে বহু মামলা দায়ের হলেও, তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের সংখ্যা কম ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাকে নিয়ে সরকারের প্রতি অসন্তোষ বৃদ্ধি পায় এবং তিনি দেশ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।
দেশত্যাগের পর, হামিদের বিদেশ যাত্রা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষত তার বিরুদ্ধে থাকা মামলা ও সরকারের বিরুদ্ধে তার অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন। তারা মনে করছেন, এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির আরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
আবদুল হামিদ সরকারের পতনের পর নানা দিক থেকে চাপের মুখে পড়েছিলেন এবং নানা রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশ ত্যাগের পর তা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে।
এদিকে, দেশত্যাগের খবর নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন মন্তব্য আসেনি। তবে, এসব ঘটনা চলমান রাজনৈতিক আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
Post a Comment