কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কলাপাড়া মোড় থেকে নীলগঞ্জ হাজীরগল পর্যন্ত চলমান সড়ক উন্নয়নকাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে কিশোরগঞ্জ-নীলগঞ্জ-তাড়াইল সড়কে নির্মাণকাজ চলছে। এর গুণগতমান নিয়ে স্থানীয়ভাবে অভিযোগ ওঠার পর দুদক বিষয়টি তদন্তে নামে।
সরেজমিনে তদন্তে কী পাওয়া গেল?
অভিযানকালে কিশোরগঞ্জ দুদকের একটি টিম, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের প্রকৌশলী এবং এলজিইডি কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা মিলে সড়কের বিভিন্ন অংশ পরীক্ষা করে দেখেন। তারা রাস্তার কার্পেটিং, মেকাডম এবং ব্যবহৃত ইটের মান যাচাই করেন।
সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল কবির বলেন, “এই সড়কের মোট দৈর্ঘ্য চার কিলোমিটার ৩১০ মিটার। এখানে মেকাডমের পুরুত্ব ছিল ৭৫ মিলিমিটার, যা পরিমাপে ৮৫ মিলিমিটার পাওয়া গেছে। কার্পেটিংয়ের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ছিল ৪০ মিলিমিটার, সেটিও ঠিকঠাক রয়েছে। ব্যবহৃত ইটও এক নম্বর শ্রেণির। সব মিলিয়ে কাজের মান সন্তোষজনক।”
অভিযোগের ভিত্তিতে নেওয়া পদক্ষেপ
দুদকের কিশোরগঞ্জ জেলা সহকারী পরিচালক ইশতিয়াদ আহমেদ বলেন, “নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা উদ্যোগ নিই। তবে, তদন্তে দেখা গেছে, রাস্তার তিনটি স্থানে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে, তার সবই প্রাক্কলন অনুযায়ী সঠিক রয়েছে। তাই এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে এলজিইডির কোনো কর্মকর্তা না রেখে সড়ক ও জনপথ বিভাগের একজন প্রকৌশলীর মাধ্যমে এই যাচাই করা হয়।
জনস্বার্থে দুদকের তৎপরতা
দুদকের এই উদ্যোগ স্থানীয় জনগণের মধ্যে স্বস্তি ও আস্থা ফিরিয়ে এনেছে। সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং সম্ভাব্য দুর্নীতি প্রতিরোধে নিয়মিতভাবে এমন অভিযান চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
Post a Comment