কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার শহিদুল ইসলাম গত বছরের জুলাই মাসে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মারাত্মক আহত হন। আন্দোলনের একপর্যায়ে সহিংস হামলায় তার একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরবর্তীতে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌথ সহযোগিতায় শহিদুলকে থাইল্যান্ডে পাঠানো হয় এবং সেখানকার একটি আধুনিক হাসপাতালে তার প্লাস্টিক সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
বর্তমানে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে শহিদুলের অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। ধীরে ধীরে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছেন বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক দল।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শহিদুলের চিকিৎসা প্রক্রিয়াটি যথাযথ সরকারি সহায়তার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং তার পুনর্বাসনের জন্য ভবিষ্যতেও প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তার দ্রুত সুস্থতার জন্য সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক ইকরাম হোসাইন বলেন, “শহিদুল শুধু একজন আন্দোলনকারী নয়—সে ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজের প্রতিবাদের প্রতীক। তার ওপর যে বর্বরতা চালানো হয়েছে, তা আমাদের সমাজের এক নির্মম চিত্র। আমরা কখনও চুপ করে থাকিনি। আন্দোলনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। জেলা প্রশাসনের আন্তরিক ভূমিকা ও আমাদের প্রচেষ্টার ফলে শহিদুল চিকিৎসা পেতে পেরেছে, এবং আজ সুস্থতার পথে। এটি আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন।”
তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে—সংগঠিত ছাত্র আন্দোলন ও প্রশাসনিক সদিচ্ছার সমন্বয়ে বড় পরিবর্তন সম্ভব। আমরা চাই না দেশে আর কোনো শহিদুল তৈরি হোক।”
স্থানীয় বাসিন্দারাও শহিদুলের সাহসিকতা ও সহনশীলতার প্রশংসা করেছেন এবং তার দ্রুত আরোগ্য কামনায় একত্রিত হয়েছেন।
ফ্যাসিবাদ বিরোধী এই ছাত্র আন্দোলন দেশের তরুণদের মাঝে অন্যায় ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী চেতনা সৃষ্টি করেছে। আন্দোলনের নেতারা আশা করছেন, এই ঘটনার মাধ্যমে দেশব্যাপী সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে নতুন করে তরুণ প্রজন্ম সোচ্চার হবে।#কিশোরগঞ্জ #তাড়াইল #ফ্যাসিবাদবিরোধীআন্দোলন #শহিদুল #প্লাস্টিকসার্জারি #ছাত্রআন্দোলন #বৈষম্যবিরোধী #বাংলাদেশ
Post a Comment