গণঅধিকার পরিষদের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনের পদত্যাগ

গণঅধিকার পরিষদের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সংগঠনটির সকল সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। ২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, তিনি এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জনসমক্ষে প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি সংগঠনের সভাপতির বরাবর আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্রও পাঠিয়েছেন।

সাখাওয়াত হোসেন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ছিলেন এবং বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন, ব্যক্তিগত ও অনিবার্য কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।

রাজনীতিতে তার যাত্রা শুরু ছাত্র অধিকার পরিষদের মাধ্যমে। তিনি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে গণঅধিকার পরিষদের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক হন। সর্বশেষ তিনি শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তার ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “সংগঠনের সঙ্গে দীর্ঘ পথচলায় যে দায়িত্ব, অভিজ্ঞতা ও সৌহার্দ্য অর্জিত হয়েছে, তা আমার রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনের এক মূল্যবান অধ্যায় হিসেবে চিরস্মরণীয় থাকবে। আমি সংগঠনের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য ও অগ্রগতি কামনা করি।”

পদত্যাগপত্রে তিনি সভাপতিকে উদ্দেশ করে অনুরোধ করেন, যেন তাকে সংগঠনের বর্তমান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি একটি অনুলিপি কেন্দ্রীয় দপ্তরেও প্রেরণ করা হয়েছে।

সাখাওয়াত হোসেনের এই পদত্যাগকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক কাঠামোতে প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও তিনি তার পদত্যাগের কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত বিষয়কে সামনে এনেছেন, তবে এর পেছনে দলীয় সিদ্ধান্ত কিংবা অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ আছে কিনা, সে প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে।

এদিকে, সংগঠনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে জানা গেছে, খুব শিগগিরই তার জায়গায় নতুন কেউ দায়িত্ব পেতে পারেন।

উল্লেখ্য, গণঅধিকার পরিষদ দেশের তরুণ সমাজে এক উদীয়মান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে পরিচিত। সংগঠনের কার্যক্রমে তরুণদের ব্যাপক অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো। এই অগ্রযাত্রায় সাখাওয়াত হোসেনের অবদান অনেকেই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছেন।

তার পদত্যাগের সিদ্ধান্তে অনেকেই মর্মাহত হয়েছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। যদিও তিনি এখনো ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা স্পষ্ট করেননি, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তাকে হয়তো খুব শিগগিরই অন্য কোনো উদ্যোগে দেখা যেতে পারে।#গণঅধিকার_পরিষদ #সাখাওয়াত_হোসেন #পদত্যাগ #কিশোরগঞ্জ #রাজনীতি_বাংলাদেশ #শিক্ষা_গবেষণা #ছাত্র_অধিকার