২৮ জুন মহাসমাবেশ সফল করতে জাফরাবাদে ইসলামী আন্দোলনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

দেশে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার, অতীতের গণহত্যার বিচার এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জোরদার করতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আগামী ২৮ জুন শনিবার, দুপুর ২টায় ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে। এই মহাসমাবেশকে সফল করে তুলতে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রস্তুতিমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে।

এরই অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদ ইউনিয়নে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় অংশ নেন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জাফরাবাদ ইউনিয়ন শাখার সভাপতি জনাব পারভেজ আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ-সভাপতি আবুল কাশেম। সভার মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জাফরাবাদ ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ ইয়াছিন আহমদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিভিন্ন শাখার নেতৃত্ববৃন্দ, যারা এই মহাসমাবেশের গুরুত্ব ও লক্ষ্য নিয়ে মতবিনিময় করেন।

বক্তারা বলেন, “দেশে রাজনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সংস্কার একান্ত জরুরি। বিগত সময়ে যারা জনগণের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে, তাদের বিচার না হলে দেশে কখনো স্থায়ী শান্তি আসবে না। পীর সাহেব চরমোনাইর নির্দেশে আমরা ২৮ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত থাকবো ইনশাআল্লাহ।”

তাঁরা আরও বলেন, “বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থা জনগণের প্রকৃত মত প্রকাশের সুযোগ দেয় না। এজন্য আমরা (PR) সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছি, যাতে সব দলের ন্যায্য অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। এই মহাসমাবেশ থেকে যে কর্মসূচি ঘোষণা হবে, আমরা তা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।”

সভায় অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ জানান, এই মহাসমাবেশ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর জন্য একটি ঐতিহাসিক মোড় নিতে পারে। সমাবেশের মাধ্যমে দেশের জনগণকে বর্তমান শাসনব্যবস্থা ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সচেতন করা হবে। তারা আরও জানান, প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কাজ চলছে।

প্রসঙ্গত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিগত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে গণআন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। দলটি ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষা, ইসলামবিরোধী নীতির প্রতিবাদ, এবং গণতান্ত্রিক পন্থায় পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক পরিসরে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছে।

স্থানীয় নেতারা মনে করছেন, জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গণতন্ত্র ও ইসলামি মূল্যবোধকে সমন্বিতভাবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এই লক্ষ্যে ২৮ জুনের মহাসমাবেশ হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

তাদের আহ্বান, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মানুষ যাতে এই মহাসমাবেশে অংশ নেয়, তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি নেতা-কর্মীকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।#ইসলামীআন্দোলনবাংলাদেশ #মহাসমাবেশ২০২৫ #পিআরপদ্ধতি #গণহত্যারবিচার #সোহরাওয়ার্দীউদ্যান #রাজনৈতিকসভা #বাংলাদেশরাজনীতি #ধর্মীয়রাজনীতি #সংখ্যানুপাতিক_নির্বাচন

Post a Comment

Previous Post Next Post