সোমবার (১৬ জুন) ঢাকায় এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিবন্ধন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেই প্রতীকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এই সভায় নিবন্ধনের যাবতীয় প্রস্তুতি, কাঠামো এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, নিবন্ধন সংক্রান্ত সব নিয়ম ও শর্ত পূরণের লক্ষ্যে এনসিপির একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন, গঠনতন্ত্র প্রণয়ন, ভোটার তালিকা প্রস্তুত এবং দলীয় কার্যালয় স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুছিয়ে নেওয়ার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
নির্বাচনী প্রতীক নির্বাচনের ক্ষেত্রে শাপলা ছাড়াও আরও চারটি প্রতীক নিয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনায় থাকা অন্য প্রতীকগুলো হলো—সাদা ঘোড়া, চা পাতা, বই এবং মুষ্টিবদ্ধ হাত। তবে শাপলা প্রতীকটিই এনসিপির নেতাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাষ্যমতে, বর্তমান সময়ে নির্বাচন কমিশনের সংরক্ষণে থাকা প্রতীকগুলোর অনেকটাই জনগণের কাছে আগ্রহ হারিয়েছে বা প্রাসঙ্গিকতা কমে গেছে। এজন্য তারা এমন প্রতীক নির্বাচন করতে চান, যা দলীয় চিন্তাধারা এবং দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে জনসম্পৃক্ত হতে পারে। জাতীয় ফুল হিসেবে স্বীকৃত ‘শাপলা’ প্রতীকের মধ্যে তারা সেই বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন।
নিবন্ধনের আবেদন প্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করতে চায় এনসিপি। কারণ দলটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে সক্রিয় হতে চায়। সেজন্যই নিবন্ধনের পাশাপাশি সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করতে তৎপর দলটি। দলের নেতারা মনে করছেন, একটি গ্রহণযোগ্য ও অর্থবহ প্রতীকের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করা সম্ভব, যা ভবিষ্যতের রাজনীতিতে এনসিপিকে একটি শক্ত অবস্থান দিতে সহায়তা করবে।
সব মিলিয়ে, আজকের কেন্দ্রীয় সভাটি এনসিপির রাজনৈতিক যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দলটির নিবন্ধন ও প্রতীক নির্ধারণ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের নির্বাচনী রাজনীতিতে দলটির অবস্থান কতটা শক্ত হবে, তা নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে।#জাতীয়_নাগরিক_পার্টি #এনসিপি #নির্বাচনী_প্রতীক #শাপলা #বাংলাদেশ_রাজনীতি #রাজনৈতিক_দল #ভোট_২০২৫
Post a Comment