জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নোয়াখালী জেলা আমির ইসহাক খন্দকার, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলামসহ অনেকে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অংশ নেন।
জানাজা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এই জাতিকে নতুনভাবে চিন্তা করার সুযোগ দিয়েছে। এটি সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে। শহীদ হাসানের আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যাবে না।” তিনি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ হাসানের পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন এবং সরকারিভাবে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
শহীদ হাসানের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার সংগ্রামী জীবনের কথা স্মরণ করে অনেকে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনরা বলেন, “হাসান ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা, ন্যায়ের পক্ষে বলিষ্ঠ কণ্ঠ। দেশ ও সমাজের জন্য তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ আগস্ট চট্টগ্রামের টাইগারপাস এলাকায় জুলাই মাসের গণ-আন্দোলনে অংশগ্রহণের সময় মো. হাসান গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। তবে অবস্থার আরও অবনতি হলে গত ২৪ নভেম্বর তাকে থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরবর্তীতে চিকিৎসার প্রয়োজনে সেখান থেকে তাকে পায়াথাই পাহোলিওথিন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১টা ১০ মিনিটে হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়।
শহীদ হাসানের পরিবার ও স্থানীয়রা তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।#শহীদহাসান #জুলাইআন্দোলন #নোয়াখালী #বাংলাদেশ #সামাজিকবিচার #জানাজা #শ্রদ্ধাঞ্জলি #নতুনপ্রজন্মেরনেতা #ভবিষ্যতেরবাংলাদেশ
Post a Comment