বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান বলেছেন, নিবন্ধনহীন একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এক মঞ্চে বসলে বিএনপির মর্যাদাহানি হয়। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, "যে দল একসময় ৭ লাখ মানুষের মিছিল করত, এখন মাইকিং করেও ৭০০ জন জমাতে পারে না, সেই এনসিপির সঙ্গে প্রথম মিটিং করলেন ইউনূস সাহেব। আর সেই এনসিপির পাশে বসে বিএনপি। এটা লজ্জার, এটা অপমানজনক।"
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে এসব বক্তব্য দেন তিনি। ফজলুর রহমান দাবি করেন, "আমি আমার নেতা তারেক রহমানকে বলব, আগে এনসিপি রেজিস্ট্রেশন করুক। তারপর বিএনপি তাদের সঙ্গে বসুক। না হলে এতে বিএনপির মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়, বাংলাদেশের মানুষেরও অপমান হয়।"
ছাত্র রাজনীতি নিয়েও ক্ষোভ
টকশোতে তিনি ছাত্র রাজনীতির বর্তমান অবস্থা নিয়েও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “৫ আগস্টের আগে মনে হতো এরা বুঝি ফিডেল কাস্ত্রো বা চে গুয়েভেরা। আর এখন দেখা যাচ্ছে তারা আঙুল ফুলে কলাগাছ, কলাগাছ হয়ে বটগাছ হয়েছে। যাদের বাড়িতে একসময় একটি ঘর ছিল না, দরজা ছিল না—তারা এখন বিমানে করে বাড়ি যায়।”
তিনি প্রশ্ন করেন, “এগুলো কি দেশের মানুষ দেখে না? আমরা দেখি না? সমস্ত ছাত্ররা এখন ইউএনও অফিস, ডিসি অফিস, সচিবালয় ঘুরে ঘুরে প্লট কিভাবে নেওয়া যায়, চাকরি কিভাবে ম্যানেজ করা যায়, সেটাই চিন্তা করছে। এ জন্যই কি আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম?”
গণতন্ত্র হত্যার অভিযোগ
ফজলুর রহমান বলেন, “এই দেশ রক্তের সাগর পার হয়ে স্বাধীন হয়েছে। অথচ আজ দেশ একটি গভীর চক্রান্তের মধ্যে পড়েছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে, মানুষের মানবাধিকার ধ্বংস করা হচ্ছে। দেশের তারুণ্য ধ্বংসের পথে, নৈতিকতা হারিয়ে যাচ্ছে।”
রাজাকারদের নিয়ে কঠোর ভাষা
তিনি আরও বলেন, “এখনো মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে আছেন। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়, তারা বড় পাপী। তারা রাজাকার, আলবদর ও তাদেরই সন্তান। দেশ নিয়ে খেলাধুলা করা চলবে না। এটা কোনো খেলার মাঠ নয়।”#বিএনপি #ফজলুর_রহমান #এনসিপি #রাজনীতি #মুক্তিযুদ্ধ #গণতন্ত্র #বাংলাদেশ #ছাত্ররাজনীতি #তারেক_রহমান #রাজাকার #মানবাধিকার
Post a Comment