সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খতিবদের জন্য সরকারি ভাতা এবং মসজিদ রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ায়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) এ বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
৯ মে (শুক্রবার) রাতে ইফার জনসংযোগ কর্মকর্তা বিল্লাল বিন কাশেম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মসজিদ রেজিস্ট্রেশন কিংবা ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য ভাতা প্রদানের বিষয়ে বর্তমান সময়ে সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত বা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এই বিষয়ে যেসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তা পুরোপুরি অসত্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষ্য অনুযায়ী, একটি অসাধু চক্র পরিকল্পিতভাবে এমন ভুয়া তথ্য প্রচার করে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এতে করে ধর্মীয় পরিবেশে ভুল বার্তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্মানিত খতিব, ইমাম, আলেম ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এ ধরনের ভুয়া প্রচারণা থেকে দূরে থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন জেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের তাদের এলাকায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে করে মানুষ বিভ্রান্ত না হয়।
ইফা জোর দিয়ে বলেছে, “গুজবে কান না দিয়ে যেকোনো তথ্য যাচাই-বাছাই করে গ্রহণ করুন এবং দায়িত্বশীল আচরণ করুন।”
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জীবনযাত্রার মান ও আর্থিক কষ্ট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। অনেক ইমাম ও মুয়াজ্জিন সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন বলেও জানা গেছে। এ প্রেক্ষাপটে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো এই ধরনের ভুয়া খবর অনেকের মধ্যে আশার আলো দেখালেও, বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন।
জনসাধারণের মধ্যে এ নিয়ে যেন কোনো প্রকার বিভ্রান্তি না ছড়ায়, সেজন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন গুজব ছড়াচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে বলে একাধিক সূত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
ধর্মীয় অনুভূতির সুযোগ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী এসব চক্রের তৎপরতা রোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শও দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
এই পরিস্থিতিতে, নীতিনির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে—ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জীবনমান উন্নয়নের বিষয়ে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নেওয়া হোক, যাতে করে ভবিষ্যতে এমন গুজবের সুযোগ না থাকে।
Post a Comment