তুরস্কে বিরোধী নেতা ইমামোগলু আটক


তুরস্কে বিরোধী দলীয় নেতা ও ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে আটক করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার সকালে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। দুর্নীতি, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তা এবং টেন্ডার জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তবে প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) একে “পরবর্তী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান” বলে অভিহিত করেছে। সমালোচকদের মতে, আসন্ন নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

৫৪ বছর বয়সী একরেম ইমামোগলু ইস্তাম্বুলের জনপ্রিয় নেতা এবং প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, জনপ্রিয়তায় তিনি এরদোয়ানকে ছাড়িয়ে গেছেন, যা তাকে তুরস্কের সম্ভাব্য পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে তুলে ধরেছে।

কর্তৃপক্ষের দাবি, ইমামোগলুর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক সংগঠন পরিচালনা, ঘুষ লেনদেন ও টেন্ডার জালিয়াতির অভিযোগে দুটি পৃথক তদন্ত চলছে। তবে তার সমর্থকরা বলছেন, এটি আসন্ন ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি রাজনৈতিক কৌশল।

তুরস্কের সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, দেশটির বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, বিরোধী শিবিরকে দমন করতেই এরদোয়ান প্রশাসন ইমামোগলুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে

সিএইচপি বলেছে, “আমরা এই স্বৈরাচারী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবো।”

একটি ভিডিওবার্তায় ইমামোগলু বলেছেন, “আমি কোনও কিছুতেই হাল ছাড়বো না এবং চাপের মুখেও নিজের অবস্থান ধরে রাখবো।”

আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সিএইচপি আনুষ্ঠানিকভাবে ইমামোগলুকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার কথা। তবে তার আটকের ফলে তুরস্কের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা এরদোয়ানের জনপ্রিয়তা এবং সরকারের গ্রহণযোগ্যতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তুরস্কে গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া কেমন হয়, সেটিও এখন দেখার বিষয়

Post a Comment

Previous Post Next Post